অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বান্দরবানের থানচিতে র্যাবের হাতে গ্রেফতার ১৬ জঙ্গি ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্যসহ ১৯ জনের তিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ২টার দিকে এই ১৯ জনকে আদালতে তোলা হলে জুডিশিয়াল আমলি আদালতের বিচারক সৈয়দা সুরাইয়া আক্তার তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্য আস সামী রহমান সাদ, সোহেল মোল্লা, আল আমিন ফকির, জহিরুল ইসলাম, রিয়াজ শেখ জায়েদ, ওবায়দুল্লাহ, জুয়েল মাহমুদ, ইলিয়াস রহমান, হাবিবুর রহমান মোড়া, সাখাওয়াত হোসেইন, আব্দুস সালাম রাকি, জোবায়ের আহমেদ আইমান, শামীম হোসেন, আবু হুরাইরা রাফি, তাওয়াবুর রহমান সোহান, মোহাম্মদ মাহমুদ, মোহাম্মদ আবু হুরাইরা এবং পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সদস্য লাল মুল সিয়াম বম, মালসম পাংকুয়া ও ফ্ল্যাগ ক্রস থাং বম। এদিকে, জঙ্গি সদস্য মো. মিরাজ শিকদার অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে তোলা হয়নি।
বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আবদুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থানচির রেমাক্রি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় জঙ্গি ও সশস্ত্র সংঘটন কেএনএফের অবস্থান সম্পর্কে খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ অভিযানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ১৭ জন ও কেএনএফের তিন সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৮০ রাউন্ড কার্তুজ ও নগদ সাত লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে আজ সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৬ জঙ্গি ও কেএনএফের তিন সদস্যকে পুনরায় আদালতে তোলা হলে সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ জনের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
Leave a Reply